ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রায় ৩ বছর পর পলাতক আসামি আমিনুল ইসলাম মাখনকে আটক করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪। শুক্রবার রাতে র্যাব-১৪ এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ জেলখানা রোড এলাকা থেকে তাকে আটক। পরে আটককৃত মাখনকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য- ২০২১ সালের ৭ মে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের ভারতী বাজারের মুদি দোকানদার শাহ আলম পাশবর্তী সাখুয়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে শামছুল কবীর সবুজ (৪০) এর নিকট দোকানের বাকি বাবদ ৪ হাজার টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে বাজারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষকেই থামিয়ে দেয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন বিকেলে আসামিগণ পুনরায় ভারতী বাজারে শাহ আলমের দোকানের সামনে আসিয়া গালমন্দ করতে থাকে। এসময় শাহ আলম এর চাচা মহিউদ্দিন আজাদ মানিক আসামিদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করে। তখন আসামিগন উত্তেজিত হয়ে পাশে থাকা আব্দুর রশিদ এর মিষ্টির দোকানের কাঠের চেলা দিয়ে মহিউদ্দিন আজাদ মানিককে মারপিঠ শুরু করে। এমন সময় শাহ আলম এর আরেক চাচা আজিজুল হক (৩৯) এগিয়ে এসে মারপিঠ না করার জন্য তাদেরকে নিষেধ করে। এদিকে তাদেরকে নিষেধ করার পর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা আজিজুল হককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আজিজুল হকের স্বজনরা গুরুতর অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ জোসনা আক্তার (৩২) বাদী হয়ে ১২জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার ময়মনসিংহ থেকে আসামি আমিনুল ইসলাম মাখনকে আটক করে র্যাব-১৪।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, হত্যা মামলার আসামিকে র্যাবআটক করার পর থানায় হস্তান্তর করে। পরে শনিবার দুপুরে তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।